প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

গোলাপগঞ্জে টিলা ধসে ২ সন্তানসহ মা-বাবার মৃত্যু, আশপাশের পরিবারকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা

editor
প্রকাশিত জুন ১, ২০২৫, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ণ
গোলাপগঞ্জে টিলা ধসে ২ সন্তানসহ মা-বাবার মৃত্যু, আশপাশের পরিবারকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা

গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা:
সিলেটের গোলাপগঞ্জে টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণের ফলে টিলা ধসে একই পরিবারের দুই সন্তানসহ চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে প্রশাসন। মৃতরা হলেন– বখতিয়ারঘাট গ্রামের মৃত আসিদ আলীর ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন (৫৫), তার দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০), মেয়ে সামিয়া (১৪) ও ছেলে আলী আব্বাস (৯)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িটি ছিল একটি উঁচু টিলার পাদদেশে। গভীর রাতে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ টিলার মাটি ধসে পড়ে ঘরের উপর। ঘুমন্ত অবস্থায় রিয়াজ ও তার পরিবার চাপা পড়ে যায়। তাদের আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং মাটি সরিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে তারা সফল হতে পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, ও স্থানীয় প্রশাসন এসে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চারটি মরদেহ উদ্ধার করে।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, টানা বৃষ্টির ফলে টিলা ধসের ঘটনা ঘটেছে। দুই সন্তানসহ এক দম্পতির মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুরে জানাযার নামাজ হওয়ার কথা।

তিনি আরও জানান, যাতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা আবার না ঘটে, সেজন্য আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার টিলাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এক পরিবারের ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবছর বর্ষা এলেই এ ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে এবার যেভাবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে টিলার পাশে বসবাসকারী মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

Sharing is caring!