প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

স্পর্শকাতর প্রকল্পে ‘ছেলেখেলা’

editor
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ
স্পর্শকাতর প্রকল্পে ‘ছেলেখেলা’

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

 

বিশ্বের কোথাও পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আন্দোলনের নজির নেই। কিন্তু দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সেই ইতিহাস ভেঙেছে। কর্মীরা বিভিন্ন দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। আর প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে নানা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। উপযুক্ত কারণ ছাড়াই প্রকল্পে কর্মরত ১৮ জনকে চাকরিচ্যুত এবং ৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে নির্মাণঝুঁকিতে পড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এমন বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা বিশ্বে এটিই প্রথম। স্পর্শকাতর এ প্রকল্প নিয়ে ছেলেখেলার কোনো সুযোগ নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্মাণকাজের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও ঝুঁকি তৈরি করবে।

 

এদিকে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই ১৫ প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পেশাজীবী প্রকৌশলীদের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)। প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে মৌলিক অধিকারও ক্ষুন্ন হয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রেখে অভিজ্ঞসম্পন্ন প্রশিক্ষিত প্রকৌশলীদের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ পরিচালনার জন্য তাদের স্বপদে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

 

কয়েক দফা সময়সীমা পিছিয়ে আগামী ডিসেম্বরে ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালুর কথা রয়েছে। কেন্দ্রটি চালুর আগেই কর্মীদের এমন অসন্তোষ, বিশৃঙ্খলার কারণে সেখানে কর্মরত রাশিয়া, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা-আইইএসহ বিভিন্ন বিদেশিদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ, অস্বস্তি কাজ করছে। এতে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণœ হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি।

 

প্রকল্পটিতে দীর্ঘদিনের নানা অসংগতি জিইয়ে রাখার পেছনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকেই। এসব অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) চেয়ারম্যান ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রকল্প পরিচালকের বক্তব্য নিতে দফায় দফায় চেষ্টা করা হলেও, তা জানা সম্ভব হয়নি।

 

পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীরা তাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন কিছুদিন ধরেই। এর জেরে বিভিন্ন সময়ে অন্তত ৩০০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস এবং ২৬ জনের প্রকল্প এলাকায় প্রবেশের অধিকার কেড়ে নেয় এনপিসিবিএল। পাশাপাশি সম্প্রতি ১৮ জনকে চাকরিচ্যুত এবং ৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতদের অব্যাহতিপত্রে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে ‘এনপিসিবিএলে আপনার সার্ভিসের আর প্রয়োজন নেই’।

 

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনায় দক্ষ করে তুলতে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য ব্যয়বাবদ জনপ্রতি ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা হিসাবে তাদের পেছনে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রটি চালুর আগেই এমন চাকরিচ্যুতির ফলে রাষ্ট্রের এ অপচয়ের দায় কে নেবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গে রূপপুরের কর্মীদের মধ্যেও চরম অসন্তোষ আর আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য ২০১৫ সালে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি এনপিসিবিএলের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু প্রায় এক দশকেও প্রতিষ্ঠানটি তার কর্মীদের জন্য ‘সার্ভিস রুল’ চালু করতে পারেনি। সার্ভিস রুল চালুর পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ভাতা, পদোন্নতি, গ্রেড বৈষম্য, পরিবহন সুবিধা, মেডিকেল ভাতা, উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাসহ নানান দাবি জানিয়ে আসছিলেন কর্মীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এসব দাবি আমলে না দিয়ে উল্টো কর্মীদের হয়রানি এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

 

তারা জানান, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কর্মীদের দাবি জোরালো হলে প্রকল্প পরিচালক এবং এনপিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহেদুল হাসান গত ৫ সেপ্টেম্বর বেশ কিছু দাবি মেনে নেওয়ার লিখিত আশ্বাস দেন। কিন্তু সেই আশ্বাস পূরণ না হওয়ায় আন্দোলনে নামেন কর্মীরা। প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রকল্পের বাইরে সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতি দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন চলাকালে গত ৫ মে সার্ভিস রুল অনুমোদন করে এনপিসিবিএল বোর্ড। এর দুদিনের মাথায় ৮ মে বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে এনপিসিবিএল। পরে আরও আটজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

 

ভুক্তভোগীরা বলছেন, তাদের নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক নয়। পাঁচ-সাত বছর ধরে চাকরি করছেন তারা। দুই বছরের মাথায় চাকরি স্থায়ী হয়েছে। এখন হুট করে উপযুক্ত কারণ ছাড়াই তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নিয়োগের শর্ত হিসেবে তাদের অন্তত ১০ বছর চাকরির বাধ্যবাধকতা থাকায় চাইলেও তারা অন্য কোথাও চাকরি করতে পারবেন না। এখন কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে হলো আর চাকরিচ্যুত করল এটা তো চরম স্বেচ্ছাচারিতা।

 

ন্যায্য দাবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের কথাগুলো কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু তারা তা আমলে নেয়নি। অব্যাহতিপত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো অভিযোগও তোলা হয়নি। সার্ভিসের প্রয়োজন নেই এমন যুক্তিকে চাকরিচ্যুত করা তো অন্যায়।’

 

ভুক্তভোগীদের একজন আসিফ খান, যিনি সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সেবার উদ্দেশ্যে আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করেছি। বিদেশ থেকে নেওয়া উচ্চপর্যায়ের প্রশিক্ষণ এখানে কাজে লাগাতে চাই। আমার ছয় বছরের কর্মজীবনে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিস পর্যন্ত নেই। এখন কোনো ধরনের আগাম নোটিস কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা অন্যায় ও অমানবিক। আমরা আমাদের চাকরিতে যোগদান করতে চাই।’

 

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে অন্তত আড়াই হাজার বেশি পদের বিপরীতে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৮০০-এর বেশি জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় এক হাজারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে রাশিয়ায় এবং অনেককে দেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অনেকের প্রশিক্ষণ চলমান। এ প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য ব্যয়বাবদ জনপ্রতি গড়ে কমবেশি ১ কোটি টাকা খরচ হয় সরকারের। কেউ চাকরি ছাড়তে চাইলে তাকে প্রশিক্ষণ ও ভাতাবাবদ ব্যয় এনপিসিবিএলকে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

 

এর আগে এক্সিকিউটিভ ট্রেইনি (ইলেকট্রনিক) পদে চাকরিতে যোগদানের দেড় বছরের মাথায় চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর আবেদন করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন ঊর্মি দেবনাথ নামে এক নারী। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনপিসিবিএল ওই নারীর কাছে প্রশিক্ষণ, বিমানভাড়া এবং অন্যান্য ব্যয়বাবদ ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা দাবি করে।

 

এনপিসিবিএলের কর্মীদের অভিযোগ, প্রকল্প পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান একাই ছয়টি পদ দখল করে রেখেছেন। প্রকল্পের পরিচালকের পাশাপাশি তিনি এনপিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা, প্রধান অর্থ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং স্টেশন ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এটি নজিরবিহীন ঘটনা। এর ফলে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরতান্ত্রিক পন্থায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তিনি।

 

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, একটা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যে ধরনের স্বচ্ছতার দরকার, তা রূপপুরে নেই। কারণ শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞ ও স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এ প্রকল্পের কিছুই করা হয়নি। ফলে সেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে। তৈরি হয়েছে বৈষম্য। কোনো সার্ভিস রুল ছিল না। কর্মীদের অনেক সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি রয়েছে। এখানে একনায়কতন্ত্র আর স্বজনপ্রীতি আছে। যার পরিণতি আজকের এ পরিস্থিতি। স্পর্শকাতর এ প্রকল্প নিয়ে ছেলেখেলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সার্ভিস রুল না করে হঠাৎ এর অনুমোদন দিয়ে পরদিন ১৮ জনকে বরখাস্ত করা তো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর মূল দায় বোর্ডের চেয়ারম্যানের (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব) ওপর।

 

তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে দাবিদাওয়া নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা না করে এমন সিদ্ধান্ত মোটেও ভালো কিছু নয়। চাকরিচ্যুতদের আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরবর্তীকালে ঝুঁকি আরও বাড়বে। বহির্বিশ্বেও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।

 

‘তবে এটাও ঠিক, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো স্পর্শকাতর ও কেপিআইভুক্ত এলাকায় এ ধরনের আন্দোলন করাও ঠিক নয়। কিন্তু তারা কেন করছে সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। এখনই এর সমাধান না হলে ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে’ যোগ করেন শফিকুল।

 

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, “পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মীরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশ ভিন্ন। নিরাপত্তার স্বার্থে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো এখানকার কর্মীদের আন্দোলনের সুযোগ নেই। সেফটি, সিকিউরিটি নিশ্চিত করা তাদের চাকরির অঙ্গীকার। আবার একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষেরও উচিত তাদের ন্যায্য দাবিগুলো যথাসময়ে নিশ্চিত করা। অর্থাৎ কর্মীর মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা দেবে রাষ্ট্র। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘স্মুথ অপারেশনের’ জন্য এ দুটোকে ব্যালান্স করা খুবই জরুরি।”

 

“কিন্তু রূপপুরে যে ঘটনা ঘটছে তা হলো ভুল বোঝাবুঝি। এখানে মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটা বড় ‘কমিউনিকেশন গ্যাপ’ তৈরি হয়েছে। এটা দূর করা দরকার” যোগ করেন তিনি।

 

বক্তব্য দিতে কর্তৃপক্ষের টালবাহানা : রূপপুর প্রকল্পে অস্থিরতা এবং নানা অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গত ৭ মে প্রকল্প পরিচালক জাহেদুল হাছানকে ফোন করে সময় চাইলে তিনি পরদিন তার অফিসে যেতে বলেন। পরদিন বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তার সাক্ষাৎ মেলেনি। সন্ধ্যায় তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এবার শনিবার সময় দেন। ওইদিন তিনি অফিসে গেলেও ফোন ধরেননি। তার মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠানো হলে তাতেও সাড়া মেলেনি। গতকাল রবিবার আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন পদাধিকারবলে এনপিসিবিএলের চেয়্যারম্যান। তার বক্তব্য নিতে গত সপ্তাহে তিন দিন সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে যাওয়া হয়। তিনি তার দপ্তরে উপস্থিত থাকলেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও মোকাব্বিরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ গত শনিবার তাকে ফোন করা হলে তার সাড়া মেলেনি।

 

সতর্কতা জারি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ : গত ৬ মে রাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রতিষ্ঠানটির সচিব এস আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক ইমেইলে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি ‘১ক’ শ্রেণিভুক্ত কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা)। তাই প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রকল্প এলাকা বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় সব ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকা- থেকে বিরত থাকতে হবে।

Sharing is caring!