প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে আ.লীগ নেতাকে কারা খু/ন করল : আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে পরিবার, ছেলে দিবেনা স্বীকারোক্তি

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ
সিলেটে আ.লীগ নেতাকে কারা খু/ন করল : আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে পরিবার, ছেলে দিবেনা স্বীকারোক্তি

Manual1 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে নিহত রাজ্জাকের পরিবার হত্যার বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন। রহস্য উদঘাটনের জন্য নিহতের ছেলে আসাদ আহমদের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

তবে সে আদালতে কোন জবানবন্দি দিচ্ছে না বলে পুলিশ সুত্র জানায়। এরআগে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে রিমান্ড শুনানী হয়। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক শরিফুল হক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্র জানায়, আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিহতের ছেলে আসাদের সোমবার (৩ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে রিমান্ড শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। হত্যাকান্ডের রহস্য্য উদঘাটন না হওয়ায় প্রথম দফা রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। পরে একই আদালতে পূনরায় ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর আসাদকে বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে সিলেট কারাগার থেকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে নেন তদন্ত কর্মকর্তা।

Manual8 Ad Code

প্রথম দফা রিমান্ডে থাকাকালিন হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি নিহতের ছেলে আসাদ আহমদ পুলিশের কাছে একেক সময় একেক ধরণের দিলেও দ্বিতীয় দফার রিমান্ডে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন। পুলিশ তার কাছ থেকে কোন তথ্য উদঘাটন করতে না পারেনি। একই সাথে সে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিতেহ অনিহা জানায়। সেই সাথে নিহত আ.লীগ নেতা রাজ্জাকের পরিবারও ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তারাও বিষয়টি নিয়ে আর আগাতে চাচ্ছেন না।

Manual4 Ad Code

এরআগে, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধারের সময় পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের গভীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। একই সাথে লাশের পাশ থেকে একটি ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। মামলার সন্দিগ্ধ আসামী আসাদ খুবই চতুর। সে লিডিং ইউনিভার্সিতে মার্স্টাসে পড়াশুনা করছে।

Manual3 Ad Code

বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগপর্যন্ত নিহত ব্যক্তির বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বাহির হতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে শুধু ওই বাড়ির গৃহকর্মী সকাল আটটার দিকে বাড়িতে ঢোকেন। তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর আবদুর রাজ্জাককে তার কক্ষে পাননি। একপর্যায়ে সিঁড়ির ঘরে লাশটি দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল, সিঁড়ির চাবি আবদুর রাজ্জাকের কাছেই ছিল।

এদিকে, নিহত আব্দুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম মামলার বিবরণে সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code