
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট-৬ বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ নির্বাচনী আসনে অনুষ্ঠিত হওয়া গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের নানা বিতর্ক এখনো পিছু ছাড়ছেনা। বিয়ানীবাজারের অন্তত: ২০টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ে, অসংখ্য কেন্দ্রে ভোট দেন ৭৫-৯০ ভাগ কথিত ভোটার।
বিগত সময়ে কেন্দ্র-ভিত্তিক ফলাফলে অস্বাভাবিক ভোট পড়ার এ চিত্র উঠে এসেছে। শতভাগ কিংবা বিশেষ হারে ভোট পড়া বিয়ানীবাজারের এসব কেন্দ্রের তালিকা ও প্রিসাইডিং অফিসারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থা অতি গোপনে এই তালিকার সার্বিক কাজ সমন্বয় করছে।
ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার অন্তত: ২০টি কেন্দ্রে ১০০% ভোট পড়েছে।
সুজন বিয়ানীবাজার শাখার সভাপতি এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন বলেন, বিষয়টি উদ্বেগের। স্থানীয় বাস্তবতায় কোথাও ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়লেই সেখানে কমিশনের আলাদা নজর দেয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট বেশিরভাগ আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে। আর বিরোধী ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ১ লক্ষ ৮ হাজার ভোট পান। উপজেলার দু’টি কেন্দ্রে তিনি জয়লাভ করেন।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের এত ভোট পড়ার তথ্য থাকলেও অনেকে ভোট দিতে পারেননি এমন অভিযোগও ছিল। ভোটের দিন এমন বেশ অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
বিয়ানীবাজারের একটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজারের কিছু বেশী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ওই কেন্দ্রে ৭৮ ভাগ ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। উপজেলায় মোট ৮৯টি ভোট কেন্দ্র ছিল।
গত হওয়া তিনটি জাতীয় নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসারদের আওয়ামীলীগের দলীয় মানষিকতার হতে হয়েছে। ভিন্নমতের কোন সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেয়া হয়নি। প্রিসাইডিং অফিসারদের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগীতা ছিল কোন কেন্দ্রে কার চেয়ে কে বেশী ভোটের হার বৃদ্ধি করবেন।
তৎকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তাই এখন বিয়ানীবাজারে নেই। সবাই বদলী হয়ে গেছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের অনেকেই বদলী হয়েছেন। যারা আছেন, তাদের তালিকা ও পিছনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্য নেয়া হচ্ছে।
Sharing is caring!