প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বছরজুড়ে প্রকৃতির বৈরী আচরণ: বিয়ানীবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ণ
বছরজুড়ে প্রকৃতির বৈরী আচরণ: বিয়ানীবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

-ফাইল ছবি

স্টাফ রিপোর্টার:

 

তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা ছিল ৪৩-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। রেকর্ডমাত্রার তাপপ্রবাহ, অতিবৃষ্টি, ভারী বৃষ্টি, উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যা, বজ্রপাত, ঘন ঘন ভূমিকম্পসহ এ বছর বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছেন বিয়ানীবাজারবাসী। এসব দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হাজারো মানুষ। ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, রাস্তাঘাট, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সোমবার সন্ধ্যায় ফের গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি হয় বিয়ানীবাজারে।

বিশেজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বছরের পর বছর বাংলাদেশে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে, দেশের অংশ হিসেবে এর প্রভাব পড়ছে বিয়ানীবাজারে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ ভুগিয়েছে এ উপজেলার মানুষকে। তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এছাড়া এবার এপ্রিল মাসে টানা ২৬ দিন যে তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি।

এছাড়াও বিয়ানীবাজার উপজেলা চলতি বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩ বার বন্যা কবলিত হয়। দীর্ঘমেয়াদি বন্যায় তলিয়ে বেশীরভাগ এলাকা। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি কৃষি আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস বলেন, সিলেট তথা বিয়ানীবাজারে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, যা বিগত ২০ বছরেও হয়নি। অন্যদিকে, এই পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতিকে আরও অবনতি করেছে।

গত ৩১শে মার্চ রাতের আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হন উপজেলার শতাধিক পরিবার। স্মরণকালের ভয়াবহ সেই ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০ ভাগ টিনসেডের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের এক একটি শিলা পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ টিনের ঘর ফুটো হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমিও। টিলা ধ্বস ঠেকাতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয় প্রশাসন। অতিরিক্ত বৃষ্টি, বৈরী আবহওয়া, রোদ্রতাপের কারণে এখানকার ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যায়, পিচ ওঠে পড়ে।

উপজেলা প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, বছরজুড়ে প্রকৃতির বৈরী আচরণে বিপর্যস্থ ছিল বিয়ানীবাজার। বন্যা, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক এখনো মেরামত করা সম্ভব হয়নি।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন বিশ্বজুড়ে। ফলে একের পর এক হিটওয়েভ (তাপপ্রবাহ), কোল্ডওয়েভ (শৈত্যপ্রবাহ), ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা হচ্ছে। এগুলো নিয়ে সারাবছর আমাদের প্রস্তুত থাকতে হয়েছে।

Sharing is caring!