প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

হবিগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ২২, ২০২৫, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ
হবিগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

Manual5 Ad Code

হবিগঞ্জে সংবাদদাতা:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ১১ বছরের এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই চুনারুঘাট থানায় গেলে ওসি মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

Manual2 Ad Code

সোমবার ৩ জনের নাম উল্লেখসহ চারজনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন শিশুর ভাই। বিচারক মুমিনুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে চুনারুঘাট থানাকে এফআরআই করার নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ওই এলাকার চেয়ারম্যানের চারা বাগানে নিয়মিত ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যেতো দরিদ্র পরিবারের ওই শিশু। গত ৩ এপ্রিল দুপুরে ওই বাগান থেকে ছাগল আনতে গেলে উৎ পেতে থাকা উপজেলার ইকরতলী গ্রামের মৃত সবুর উল্লার ছেলে সফিক মিয়া, সুহেল মিয়ার ছেলে বাপ্পি মিয়া, আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে মনির মিয়া ও অজ্ঞাত আরেকজন গলায় ছুরি ধরে শিশুটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় মোবাইল ফোনে পুরো ঘটনা ভিডিও ধারণ করে এ বিষয়ে কাউকে জানালে হত্যার হুমকিও দেয় তারা। পরে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়া বিভিন্ন জনের কাছে।

ভয়ে শিশুটি পরিবারের কাউকে না জানালেও গত ১৬ এপ্রিল ওই ভিডিও ভিকটিমের ভাইয়ের নজরে আসে। পরে পুরো ঘটনা খুলে বলে ওই শিশু। পরিবারের লোকজন তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানানো হলেও কোনো সমাধান হয়নি, উল্টো আসামিরা পরিবারটিকে নানারকম হুমকি দিয়ে আসছে।

Manual1 Ad Code

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চুনারুঘাট থানায় গেলে কর্তব্যরতরা মৌখিকভাবে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। যে কারণে আজ ভিডিও সংযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের ভাই।

Manual7 Ad Code

মামলার বাদী ভিকটিমের ভাই (সুমন মিয়া) বলেন, ‘তারা আমার ছোট বোনকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনা যেন কাউকে না বলা হয়, সেজন্য ভিডিও ধারণ করে হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে আমার বোন বিষয়টি কাউকে বলেনি। গত বৃহস্পতিবার ভিডিওটি আমার নজরে আসে।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনা জানাজানি হলে ওই যুবকরা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। যে কারণে মামলা করতে সময় লেগেছে।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুমিনুল হাসান অভিযোগ আমলে নিয়ে চুনারুঘাট থানাকে এফআরআই করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code