প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নবীগঞ্জে ভুতুড়ে পরিস্থিতি : বিএনপি নেতাসহ আটক ১১

editor
প্রকাশিত জুলাই ৯, ২০২৫, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ
নবীগঞ্জে ভুতুড়ে পরিস্থিতি : বিএনপি নেতাসহ আটক ১১

Manual8 Ad Code

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই সাংবাদিকের বিরোধের জেরে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে নবীগঞ্জ বাজার। এদিকে উক্ত সংঘর্ষের জেরে উপজেলাজুড়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। এতে উপজেলা ব‍্যাপী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগার আশংকা করছেন সাধারণ মানুষ।

বিভিন্ন স্থানে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়কে শায়েস্তা করতে মিটিং করছে গ্রামবাসী। অপরদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিজ গ্রামে নিহত ফারুক মিয়ার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি। তবে দাঙ্গায় জড়িত সন্দেহে নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহবায়ক ছালিক মিয়া চৌধুরীসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল অব্যাহত আছে।

Manual4 Ad Code

নবীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। (৮ জুলাই) রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। প্রয়োজনে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা আরও বাড়ানো হতে পারে।

জানা গেছে, স্থানীয় দুইজন সাংবাদিকের মধ্যে একে অপরকে কটুক্তি করা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধ গড়ায় কয়েক গ্রামবাসীর সংঘর্ষে। দুই সাংবাদিকের পক্ষে বিপক্ষে পৌরসভার পূর্ব তিমিরপুর ও আনমনু গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে তাদের পক্ষ নিয়ে আরও কয়েক গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়ায়। শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ রূপ নেয় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে।এক পক্ষে মৎস্যজীবী সম্প্রদায় এবং অন্য পক্ষে অমৎস্যজীবী সম্প্রদায় অবস্থান নেয়। সোমবার নবীগঞ্জ বাজারে কয়েক ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের বাসিন্দা এম্বুলেন্স চালক ফারুক মিয়া (৪২) ও অন্য পক্ষে মারা যান আনমনু গ্রামের রিমন মিয়া (২৫)।

Manual6 Ad Code

এছাড়া আহত হন শতাধিক মানুষ। এ সময় নবীগঞ্জ বাজারের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, বেসরকারি হাসপাতাল ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়।

Manual1 Ad Code

এক পর্যায়ে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে যোগ দিতে উপজেলা সদরে রওয়ানা হয়। এ খবরে অমৎস্যজীবীরা তাদের বিভিন্ন স্থানে আটকে মারধর করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত এমন হামলা সংঘর্ষ চলে। মৎস্যজীবীদের শায়েস্তা করতে মঙ্গলবার বিভিন্ন গ্রামে মিটিং করা হয়। একাধিক বাজারে মৎস্য আড়ত ভাংচুর করে মৎস্যজীবীদের মারধর করা হয়।

Manual2 Ad Code

দিনভর নবীগঞ্জ শহরে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। বাজার পুরোপুরি জনমানব শূন্য হয়ে পড়ে। এদিকে যৌথবাহিনীর লোকজন বিভিন্ন গ্রামে সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেফতার করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। সব মিলিয়ে নবীগঞ্জে এখন ভুতুড়ে পরিস্থিতি, চারদিকে সুনসান নীরবতা আর আতঙ্ক।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code