প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজার পৌরশহর: গায়েব হচ্ছে ‘মিনি ডাস্টবিন’

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ১, ২০২৫, ০৯:১১ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজার পৌরশহর: গায়েব হচ্ছে ‘মিনি ডাস্টবিন’

Manual8 Ad Code

 

হাফিজুর রহমান তামিম:

২০২২ সালের কথা। বিয়ানীবাজার পৌর শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সেটি হচ্ছে মিনি ডাস্টবিন স্থাপন প্রকল্প। এর অংশ হিসেবে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বিভিন্ন পয়েন্টে শুরু হয় ছোট আকারের ডাস্টবিন স্থাপনের কাজ। নাগরিকদের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য শহরের সড়ক ও ফুটপাতের পাশে স্থাপন করা হয়েছিল শতাধিক ‘মিনি ডাস্টবিন’। কিন্তু চুরি, অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে অল্প কয়েক মাসের ব্যবধানে সেই সব মিনি ডাস্টবিনের অস্তিত্ব আর নেই। প্রায় গায়েব হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ, প্রবাসী অনুদান এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের অর্থায়নে শুধুমাত্র বাজার এলাকায় শতাধিক মিনি ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়। ফুটপাতের পাশে বা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এই ডাস্টবিনগুলো বসানো হয়। কিন্তু সেগুলোর প্রায় সবই এখন হারিয়ে গেছে।

 

Manual1 Ad Code

পৌর শহরের বাজার এলাকা ঘুরে মিনি ডাস্টবিনের অল্প কয়েকটির হদিস পাওয়া গেছে। একসময় যেসব জায়গায় মিনি ডাস্টবিন ছিল, এখন সেসব জায়গায় চিহ্নটুকুও নেই। ফলে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। আলাপকালে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেছেন, শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার তৎকালীন এই উদ্যোগ সবার প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় যথাযথ তদারকির অভাবে এসব ডাস্টবিন হারিয়ে গেছে। ডাস্টবিনগুলো থাকলে নাগরিকদের সুবিধা হতো। সবাই না ফেললেও কিছু মানুষ তো ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনেই ফেলতেন। ধীরে ধীরে সবার মাঝেই সচেতনতা তৈরি হতো।

সুজন বিয়ানীবাজার শাখার সভাপতি এডভোকেট আমান উদ্দিন বলেন, প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার প্রধান কারণ জনসচেতনতার অভাব। প্রচারের মাধ্যমে নাগরিকদের সচেতন করা হয়নি। অনেকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করে ডাস্টবিন ভেঙে ফেলেছেন। অন্যদিকে নেশাখোর বা ভাঙারি পণ্য কারবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা চোরদেরও নজর পড়েছিল মিনি ডাস্টবিনে। ফলে এগুলো এখন হারিয়ে গেছে।

Manual6 Ad Code

 

Manual4 Ad Code

স্কুলশিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, ওই উদ্যোগটি ভালো ছিল। কিন্তু সঠিকভাবে তদারকি করা হয়নি। যেসব জায়গায় ডাস্টবিন বসানো হয়েছিল, সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মানুষ ব্যবহার করতে চাননি। মিনি ডাস্টবিন প্রকল্পটি ছিল একটি ছোট উদ্যোগ, কিন্তু সেটি কার্যকর ও স্থায়ী রূপ দিতে পারলে শহরের পরিচ্ছন্নতায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখত।

Manual8 Ad Code

 

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো: জয়নুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দৈনিক ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। আর সচেতনতা সবচেয়ে বেশী দরকার।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া ডাস্টবিন চুরি হলেও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে আমাদের টিম কাজ করছে।’

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code