প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আড্ডা জমছে বিয়ানীবাজারের ‘বারোপালের দিঘী’তে, প্রাকৃতিক মুগ্ধতা

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ১০, ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ণ
আড্ডা জমছে বিয়ানীবাজারের ‘বারোপালের দিঘী’তে, প্রাকৃতিক মুগ্ধতা

Manual8 Ad Code

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

একসময় পুকুর ও ‘দিঘীর শহর’ হিসেবে পরিচিত ছিল প্রবাসীবহুল বিয়ানীবাজার। নানা নামের দিঘী ছিল উপজেলাজুড়ে। তবে মানুষের কোলাহল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক ভরাট হয়েছে বিয়ানীবাজারের এসব দিঘী। যেগুলো অবশিষ্ট আছে, দখল-বেদখলে তার বেশিরভাগই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। জানা-অজানা অনেক দিঘীও পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে।

হারিয়ে যাওয়ার এই সময়ে প্রাকৃতিক মুগ্ধতায় পর্যটক টানছে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের প্রবেশমুখে থাকা বারোপালের দিঘী। স্থানীয় মানুষ নির্মলতার স্বাদ নিতে এই দিঘীর পারে বসে আড্ডায় মেতে ওঠেন। রোদ্রতাপ কমতে থাকলে তারুণ্য ভিড় জমায় এখানে। দিঘীতে নামার জন্য রয়েছে পুরনো পাথরের একটি ঘাট। চারদিকে বৃক্ষরাজি, দর্শনার্থীদের বসার জন্য তৈরী করা হয়েছে পাকা বেঞ্চ। দিঘী এলাকায় খাসা জামে মসজিদ অবস্থিত। বিকেলে আজানের পবিত্র সুর এক মোহময় পরিবেশের সৃষ্টি করে। বারোপালের এই দীঘি এখন বিয়ানীবাজার পৌরবাসীর ফুসফুস হয়ে উঠেছে। সরজমিন দেখা যায়, কেউ দিঘীর ঘাটে সেলফি তুলছেন, টিকটক ভিডিও করছেন আবার কেউ গভীর ধ্যানে কারো সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। প্রকৃতিপ্রেমিদের কাছে এটি পরিচয় পাচ্ছে ‘সেলফি দিঘী’ হিসেবে।

বিয়ানীবাজার উপজেলার খাসা মৌজায় প্রায় ১০০ (একশত) একর জায়গা নিয়ে বিট্রিশ শাসনামলের পূর্বে তৎকালীন বিয়ানীবাজারের জমিদার এই দিঘিটি খনন করেন। বারো পালর দিঘী নিয়ে কবিতা লিখেছেন কবি শুয়েব আহমেদ শওকতি। তিনি লিখেছেন, চারিদিকে টিলা ঘেরা সবুজের মেলা/মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সচ্ছ জলের খেলা।/ পঞ্চখন্ডের ইতিহাস ঐতিহ্যের অমলিন নিদর্শন/ বারো পালর দিঘী বিয়ানীবাজারের নান্দনিক আকর্ষণ ।

Manual7 Ad Code

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা লেখক শিমুল খালেদ লিখেছেন-‘সিলেটগামী প্রধান সড়ক ওঠতেই দেখা মিলল ঐতিহাসিক বারো পালের দিঘি। সেটার পাড় ধরে কিছুক্ষণ হাঁটলাম। বিশ্রামের জন্য দিঘির শানবাঁধানো ঘাটের পাশেই রয়েছে বেঞ্চ। সেখানে খানিকটা সময়ের জন্য বসলাম। দিঘির স্বচ্ছ টলটলে নীল জলের সঙ্গে আকাশের অবারিত নীল মিশে যেন একাকার! দিঘির অন্য পাড়ে তখন শেষ বিকেলের আলোরা খেলছিল। এ পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ফুলের বাগান, বসার জন্য পাকা করা বেঞ্চ, চেয়ার। পাড়ে বসে উপভোগ করছিলাম বিকেলের মুগ্ধকর ফুরফুরে হাওয়া। এর মধ্যেই হঠাৎ কয়েকজন কিশোর হুড়মুড় করে ঝাঁপিয়ে পড়ল দিঘিতে। মৌনতা ভেঙে চমকে উঠল দিঘির জল।’

Manual2 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

বারোপালের দীঘিতে পানির পরিমান কত, তা জানেনা কেউ। সরকারি-বেসরকারি কোন কর্তৃপক্ষই দিঘীটির সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়নি।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code