প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

রাতের মহাসড়ক: ভাড়ায় খাটছে ডাকাতরা

editor
প্রকাশিত মে ২৪, ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ণ
রাতের মহাসড়ক: ভাড়ায় খাটছে ডাকাতরা

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

বড় ধরনের ডাকাতি কিংবা ছিনতাইয়ের জন্য ভাড়ায় খাটছে ডাকাত চক্রের সদস্যরা। বিভিন্ন দলের সর্দারের অধীনে ওই সব দুর্ধর্ষ ডাকাতকে টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট ‘অপারেশন’ (ডাকাতি-ছিনতাই) বা নির্ধারিত সময়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত যখন বড় কোনো ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয় তখনই বাড়তি শক্তির জন্য এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে পেশাদার সদস্যদের যুক্ত করা হয়। পরে ডাকাতি বা ছিনতাই শেষ হলেই তারা আবার ফিরে যায় নিজ দলে। গোয়েন্দা সূত্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, নতুন ওই সব পদ্ধতি প্রয়োগ করে দলে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য বা তৎপরতার সক্ষমতা বাড়িয়েছে ডাকাত চক্রগুলো। দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রের বেপরোয়া তৎপরতায় বর্তমানে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে রাতের সড়ক-মহাসড়ক। রাত-গভীর হলে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হানা দিচ্ছে সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনে। ডাকাতদের তৎপরতার কারণে রাতের সড়কে ‘তীব্র’ আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে যাত্রী ও চালকদের। নানা কায়দায় গাড়ির গতিরোধ করে যাত্রী, চালক বা আরোহীদের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বাধা দিলেই ঘটছে খুন-জখমের ঘটনা। এরই মধ্যে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দুর্ধর্ষ ডাকাতদের তৎপরতা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। যদিও হাইওয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও জেলা পুলিশ এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সড়কে নিরাপত্তা টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে।

 

ভাড়ায় পরিচালিত হচ্ছে পেশাদার ডাকাতরা

 

গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানিয়েছে, আন্তজেলা ডাকাতদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ লোকবল সরবরাহ বা রদবদলের মতো ঘটনা ঘটছে। বড় ধরনের অপারেশন (ডাকাতি-ছিনতাই) হলে তখন অন্য গ্রুপ থেকে অতিরিক্ত সদস্য যুক্ত করা হচ্ছে। তবে প্রতিটি ডাকাত দলে কাজ করছে ২৫ থেকে ৩৫ জন সদস্য। দু-একটি গ্রুপে এর চেয়েও বেশিসংখ্যক সদস্য থাকতে পারে। পেশাদার ওই সব ডাকাত রাতে ভয়ানক অপকর্মে যুক্ত থাকলেও দিনের আলোয় তারা বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা বা কৃষিকাজে সম্পৃক্ত। স্থানীয় পর্যায়ে হয়তো অনেকেই নিরীহ সাধারণ মানুষ হিসেবেই পরিচিত। পুরোনো ডাকাতরা উঠতি বয়সী অল্পশিক্ষিত বেকার বা অনটনের মধ্যে থাকা যুবকদের টার্গেট করে দলে অন্তর্ভুক্ত করছে বলে জানা যায়।

এই প্রসঙ্গে কথা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ আশপাশের দীর্ঘ এলাকার দায়িত্ব পালন করা এলিটফোর্স র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও আশপাশের এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাত সর্দাররা নিজেদের মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে ‘জনবল’ সরবরাহ করে থাকে। ওই সব চক্রের সদস্য বা ডাকাতরা এক দল থেকে আরেক দলে ভাড়ায় ব্যবহার হচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকজন ডাকাত সর্দার আছে, যারা পুরো অঞ্চলে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি-ছিনতাই নেতৃত্ব দিচ্ছে। এক সর্দার আরেক সর্দারের সহযোগিতা পাচ্ছে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নানাভাবে কাজ করছে তারা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় এমনই একটি চক্রের সর্দার আবদুল হাকিম জমাদ্দারকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব-১১। এ রকম আরও বেশ কয়েকজন ডাকাত সর্দার আছে। তবে তদন্ত ও অভিযানের স্বার্থে আপাতত কারও নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’

একই প্রসঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেছেন, ‘এই বিষয়ে শুনেছি। এটা নিয়ে আমরাও মাঠপর্যায়ে কাজ করছি।’

মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক, তৎপরতায় উঠতি বয়সীরা

ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দিনের বেলা স্বাভাবিক থাকলেও দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রগুলো রাতের বেলায় সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ভয়ংকর এই তৎপরতায় যুক্ত করা হচ্ছে এক শ্রেণির উঠতি বয়সী তরুণ-যুবকদের। তারাই বর্তমানে সড়ক-মহাসড়ক বা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডাকাতি-ছিনতাইয়ে দুর্ধর্ষ ভূমিকা পালন করছে। একাধিক ভুক্তভোগীও খবরের কাগজকে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

এমনই একজন ভুক্তভোগী মশিউর রহমান (ছদ্মনাম)। যিনি এক সপ্তাহ আগে মধ্যরাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মীরসরাই-সীতাকুণ্ডুর মাঝামাঝি স্থানে সস্ত্রীক দুর্ধর্ষ ডাকাতদের শিকার হন। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওই ভুক্তভোগী জানান, গত ২৮ এপ্রিল বিকেলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে ঢাকার মিরপর থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন। ঢাকার যানজট ঠেলে ফেনী পার হতেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তার রাত ১২টা পেরিয়ে যায়। এরপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মীরসরাই এলাকার শেষ এবং সীতাকুণ্ডুর সীমানায় ঢুকতেই চলন্ত গাড়ির চাকায় লোহার রড বা পাথর জাতীয় বস্তুর আঘাতের শব্দ পান। ভেবেছিলেন দুর্ঘটনাবশত কোনো কিছু গাড়িতে লেগে হয়তো ক্ষতি হয়েছে। তাই গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে নেমে চাকার সামনে যাচ্ছিলেন মশিউর। এমন সময় যেন চোখের পলকে লম্বা ধারালো ছুরি, লোহার রড ও চাপাতি হাতে দ্রুত দৌড়ে এসে তাদের ঘিরে ধরে পাঁচজন ডাকাত। যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। মশিউর ও তার স্ত্রী আকস্মিক বিপদ দেখে তাদের শারীরিকভাবে কোনো ক্ষতি না করার আকুতি জানান। এ সময় ডাকাতরা ধমক দিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন, পরিহিত স্বর্ণালঙ্কার, ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ডসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু কেড়ে নেয়। দেড় থেকে দুই মিনিটের মধ্যে সবকিছু লুটে নিয়ে দ্রুত রাস্তার একপাশে নেমে চলে যায় ডাকাতরা।

এদিকে গত ৫ মে রাত ২টার দিকে ঢাকার অদূরে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ষোলঘর এলাকায় মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাস্তা ব্লক করে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। ডাকাত চক্রের ভয়ংকর তৎপরতার দৃশ্য ধরা পড়ে ওই গাড়ির ড্যাশ ক্যামেরায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ধারালো বড় বড় রাম দা, ছুরি, চাপাতি নিয়ে কাছাকাছি দূরত্বে দফায় দফায় গাড়ি আটকাতে ধাওয়া করা হয়। দুই দফায় পাথর জাতীয় বস্তু দিয়ে গাড়ির কাঁচে আঘাত হানা হয়। প্রাণের ঝুঁকি সত্ত্বেও দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে পিছু হটে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পান ভুক্তভোগী চালক ও যাত্রীরা। এখানেও ডাকাত দলের সদস্যরা ছিল উঠতি বয়সী তথা আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

এর আগেই ২৯ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহগামী মাল্টি ইন্টারন্যাশনাল ওয়েল মিলের একটি তেলবাহী ট্রাক ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের বেজগাঁও এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির কবলে পড়ে। ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত ৫ মে ওই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আন্তজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে লুণ্ঠিত মালামাল-গাড়িসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এগুলোর বাইরেও দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ধর্ষ ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজি মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেন, ‘বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কে মাঝেমধ্যে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর রুটের কিছু এলাকায় এ ধরনের তৎপরতা বেশি। অনেক সময় টার্গেট করে ডাকাতি করা হচ্ছে। তবে হাইওয়ে পুলিশ এরই মধ্যে সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলায় বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সামনে ঈদুল আজহা, তাই কোরবানির পশুবাহী ট্রাক চলাচলের বিষয় আছে। তাই নিরাপত্তা-শৃঙ্খলার বিষয়গুলো সেভাবেই পরিকল্পনামতো সাজানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ছিনতাই-ডাকাতি রোধে মাঠে ‘ফোর্স’ নামানো হয়েছে। ছিনতাই-ডাকাতিপ্রবণ পয়েন্টগুলোতে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নজরদারি ও টহল। এতে করে ডাকাত-ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতাও আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে।’

 

প্রধান টার্গেট প্রবাসী বহনকারী গাড়ি

হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মহাসড়ক বা কিছু আঞ্চলিক সড়কে যেসব ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে প্রবাসীদের বহনকারী গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এর বাইরেও ভোজ্যতেল, গার্মেন্টস পণ্য বা মূল্যবান অন্য সামগ্রীসহ ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাসেও মাঝেমধ্যে হানা দিচ্ছে ডাকাতরা। তবে ঈদুল আজহার সময়ে পশুবাহী যানবাহন বেশি টার্গেটে পড়তে পারে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরও জানান, ডাকাত-ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা শুধু মহাসড়কে নয়, তারা বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে থাকে। মূলত বিমানবন্দর এলাকার এক শ্রেণির গাড়িচালক, হেলপার ও দালালরা (রেন্ট-এ কার) ওই ডাকাত-ছিনতাই চক্রকে প্রবাসীদের চলাচলের রুট, গাড়ি নম্বর, কালারসহ নানা তথ্য বলে দেয়। এরপর সে অনুসারে ওই রুটের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করা সিন্ডিকেটের সদস্যরা গাড়ির অবস্থান জানালে একপর্যায়ে হানা দেয় ডাকাতরা।

এ প্রসঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেছেন, ‘প্রবাসীদের টার্গেট করে ডাকাতি-ছিনতাই ঠেকাতে ইতোমধ্যেই আমরা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কেনোপি-১ ও ২ নম্বরে ‘হেল্প ডেস্ক’ চালু করেছি। সেখানে সারা দেশের গন্তব্য অনুসারে হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল সবার ফোন নম্বর দেওয়া আছে। প্রয়োজনে নিরাপত্তা বা আইনি সহায়তা নিতে পারবেন প্রবাসীরা।’

চব্বিশ ঘণ্টা সড়কে তৎপর থাকবে হাইওয়ে পুলিশ

হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুবাহী যানবাহনের নিরাপদে যাতায়াত ও ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে মহাসড়কে চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। হাইওয়ের প্রতিটি থানা বা ফাঁড়িতে টহল ডিউটি ও জরুরি মোবাইল ডিউটি চলছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্ব অনুসারে অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সড়কে তৎপর থাকবে হাইওয়ে পুলিশ।

 

ডাকাতি তৎপরতার কৌশল ও ভুক্তভোগীদের পরামর্শ

হাইওয়ে পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, ডাকাত চক্র সাধারণত ১ থেকে ২ কিলোমিটারের মধ্যে গুচ্ছভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করে থাকে। সড়কের পাশে বড়গাছের আড়ালে বা ঝোপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে তারা। টার্গেট শিকারের আগে তারা একে অপরকে ‘অ্যালার্ট’ করে। এক গ্রুপ ব্যর্থ হলে পরবর্তী গ্রুপ হামলা চালায়। এভাবেই তারা টার্গেট করা পরিবহন বা যানবাহন আটকে যাত্রী-আরোহীদের জিম্মি করে সবকিছু লুটে নেয়। এমন পরিস্থিতির শিকার হলে চাকা যতক্ষণ ঘুরে ততক্ষণ গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে। অস্বাভাবিক কোনো শব্দ পেলে নির্জনস্থানে গাড়ি না থামিয়ে বরং দ্রুতগতিতে এলাকা ত্যাগ করা উচিত। দাঁড়ানোর প্রয়োজন হলে লোকালয় বা বাজার এলাকায় গাড়ি থামাতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কিংবা হাইওয়ে পুলিশ অথবা কাছের থানায় দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।

Sharing is caring!