প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চেম্বারে অবরুদ্ধ, বিয়ানীবাজারের ডা: এনায়েতকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ণ
চেম্বারে অবরুদ্ধ, বিয়ানীবাজারের ডা: এনায়েতকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী

Manual2 Ad Code

 

স্টাফ রিপোর্টার:

Manual3 Ad Code

 

Manual4 Ad Code

প্রায় আড়াইমাস পর নিজ কার্যালয়ে ফিরেই অবরুদ্ধ হলেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (সিমেবি) অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উদ্ধার হন। এর আগে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই তিনি ‘লাপাত্তা’ ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) হঠাৎ করেই তিনি নিজ কার্যালয়ে ফিরলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরে তাকে সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

 

তার বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামে। তিনি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সুবিধাবাদী ছিলেন।

 

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিমেবি) সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন অফিসে অনুপস্থিত থাকার পর গতকাল সকালে ভিসি কার্যালয়ে এসেছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে এসো জড়ো হন বেতন বঞ্চিতরা। এক পর্যায়ে চাকরি নিয়মিতকরণ ও বকেয়া বেতন-ভতা পরিশোধের দাবিতে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান। বিষয়টি সুরাহা করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ভিসি, ট্রেজারার, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় ভিসি ১৫ দিনের মধ্যে দাবি দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলে তার অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান হয়।

 

Manual8 Ad Code

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ‘লাপাত্তা’ ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন। বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেও সাক্ষাৎ মিলেনি তার। তবে গতকাল সকালে তিনি ক্যাম্পাসে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন তারা। তাদের দাবি, অজ্ঞাত স্থান থেকেও তিনি গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন হিসাবে মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ডা. নাজমুল ইসলামকে নিয়োগ দেন ভিসি।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক বলতে কেউ নেই। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও কোষাধ্যক্ষ তিনজনই লাপাত্তা। আজ যুবলীগ-ছাত্রলীগকে সাথে নিয়ে ভিসি ক্যাম্পাসে আসার খবর পেয়ে তারা অবস্থান নেন।

Manual4 Ad Code

 

ডিন পদে নিয়োগের বিষয়ে ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০তম সিন্ডিকেটের সভায় আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভিসি সই করেছেন মাত্র। দেশের বৃহত্তম স্বার্থে এটা এমন কিছু না। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে অবরুদ্ধ করে দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে ভিসি ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে মোবাইলফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code