প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

“জনাব তারেক রহমান দ্রুত বাংলাদেশে না আসাটাই উত্তম”

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ণ
“জনাব তারেক রহমান দ্রুত বাংলাদেশে না আসাটাই উত্তম”

Manual1 Ad Code

এডভোকেট মোঃ আমান উদ্দিন:
প্রবাদ আছে “সুখের কথায় হিংসা করে, দুঃখের কথায় সুযোগ খোঁজে”। মায়ের অসুস্থতাকে পুজিঁ করে কিছু দেশী বিদেশী দুর্বৃত্তরা যে কোন অঘটন ঘটানোর জন্য প্রস্তুত। কারন তারেক রহমান-ই হচ্ছেন কুচক্রীদের ক্ষমতায় যেতে প্রধান বাধা। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। কারন যখন কোন রাজনৈতিক দল নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায় তখন সে দলটি বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। জনাব তারেক রহমান ও বেগম জিয়ার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারনে প্রায় ১৭টি বৎসর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কে সুসংঘঠিত রাখা সম্ভব হয়েছে। তৎকালীন সরকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার স্বাধ দেখিয়ে দলকে বিভক্ত করার শত চেষ্টা করিয়াছে। কিন্তু ব্যর্থ হইয়াছে। নীতির প্রশ্নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমনি আদর্শবান ছিলেন, তেমনি তাহার-ই সহধর্মীনি বেগম খালেদা জিয়া সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আজ বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেত্রী, সম্মান, যশ, খ্যাতি অর্জন করে জাতির নিকট থেকে বিরল সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

Manual6 Ad Code

সাধারন জনগণ তাহাকে গণতন্ত্রের মাতা বলে সম্বোধন করে থাকেন। যেমন ১৯৮৬, ২০০৮………..সর্বশেষ ২০২৪ সালে তদানিন্তন সরকার সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার পরও কোন সুবিধা নেননি বেগম জিয়া। তাই নীতির প্রশ্নে সর্বদা আপোষহীন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরী জনাব তারেক রহমান। বর্তমান বিএনপিকে সুসংঘটিত গনমানুষের কর্মসূচী দিয়ে সাধারন জণগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হইয়াছেন। পিতা মাতার দেখানো এবং শেখানো পথে তারেক রহমান ভাল একজন সংঘটক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

Manual5 Ad Code

গণঅভ্যুথান পরবর্তী বাংলাদেশের একমাত্র দল বিএনপি এর প্রতিদ্বন্ধী একমাত্র বিএনপি। দল যখন নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে দলীয় নেতা কর্মীদের উজ্জিবিত করতে ব্যতি ব্যস্ত, তখন দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। অসুস্থতার অযুহাতে অনেক পন্ডিত ও কুচক্রীমহল তারেক রহমানকে মাতার অন্তিম শয়নে থাকার পরামর্শ দিতেছেন, যাহা দূরভিসন্ধিমূলক। দলকে নেতৃত্ব শূন্য করার পায়তারার শামিল। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি প্রতিষ্ঠান। ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন।
সুতরাং তারেক রহমান ক্রান্তিকালীন, বিশৃংখল রাজনৈতিক পরিবেশে কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশে আশা নিরাপদ নহে। কুচক্রীমহল বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বিএনপি এর নেতৃত থেকে সরাতে মরনকামড় দেওয়ার সর্বোচ্চ পায়তারা করিতেছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জনাব তারেক রহমান এ মুহুর্তে বাংলাদেশে আশা মোটেও নিরাপদ নহে। বিএনপি সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকগণের প্রতি উদাত্ত আহবান তারেক রহমান স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে তাহার নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নহে, বিধায় নিরাপদে থাকা শ্রেয়! যখন ১৯৮১সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হন, তখন তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান খুকু শিশু ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন এক অসহায় বিধবা নারী। এরশাদ যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন তাহার পূর্বসুরী শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর পরিবারকে সেনাকুঞ্জে প্রতিকী মূল্য ১ টাকার বিনিময়ে যথাযথ নিয়ম অনুসরন করে ময়নুল রোডের বাড়িটি বেগম খালেদা জিয়াকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় রেজিষ্টারীর মাধ্যমে। উক্ত বাড়ীটি বেগম জিয়া তাহাদের পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ীটি ছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে এক কাপড়ে জোরপূর্বক ঘর থেকে বাহির করে দেন। আরাফাত রহমার খুকু মৃত্যু বরন করিলে ক্যামেরা ট্রায়ালে যান শেখ হাসিনা।

একদিকে সন্তান হারানোর বেদনা, অন্যদিকে কুচক্রিদের ছত্রছায়ায় মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার এর পরও বেগম জিয়া ভেংগে পড়েননি। নানা শারীরিক জটিলতায় দীর্ঘদিন অসুস্থ ও কারাবরন করিলে ও নীতির কাছে নতি স্বীকার করেননি। সর্বশেষ নীতি নির্ধারকদের নিকট বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সুযোগে জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা হয়ে গেলে কুচক্রীমহলের ক্ষমতায় যাওয়া সময়ের ব্যপারে মাত্র। যেহেতু দেশের স্বার্থে, দলের স্বার্থে বেগম জিয়া কখন ও দেশ ত্যাগ করেননি, সেহেতু তাহাকে উন্নত চিকিৎসার নামে বিদেশে নেওয়া মোটেও সমীচিন নহে। কারন তিনি মা, মাটি, মানুষের ভালবাসার শেষ ঠিকানা। মৃত্যু যখন আসবে তখন উন্নত চিকিৎসা দিয়ে ভাল রাখা যাবে না। সব সমালোচনা থেকে বিরত থেকে দেশের মাটিতেই ভাল চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। তাহার দেশ প্রেমকে উজ্জিবিত করুন। ত্যাগের ইতিহাস একমাত্র জিয়া পরিবারের। সুতরায় ত্যাগকে বর্তমান নেতৃত্ব অলংকারে রুপদানে সক্রিয় সহযোগীতা করুন। পরিশেষে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকালীন দলীয় হাই কামন্ডারের সিদ্ধান্তের বাহিরে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দলে বিশৃংখলা বা বিভাজন তৈরী কারীদের চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ব্যবস্থা করুন। যেমনঃ শমসের মুবিন চৌধুরী, খন্দকার তৈয়বুর রহমান, ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমরকে যেভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব মুনাফিকরা চলে যাওয়ায় দলের কি কোন ক্ষতি হয়েছে ?
লেখক, সভাপতি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বিয়ানীবাজার, সিলেট। মোবাঃ ০১৮১৯-১৭৬২১৭

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code