প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে পরোয়ানা, লাভ হবে বাংলাদেশের

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২২, ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে পরোয়ানা, লাভ হবে বাংলাদেশের

Manual3 Ad Code

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

ঘুষ প্রদানের অভিযোগে ভারতের আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

 

আদালতের অভিযোগে বলা হয়েছে, সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি লোভনীয় কাজ পেতে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদান করেছেন গৌতম আদানি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন বলেছেন, গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে। তিনি জানিয়েছেন, আদানির সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। ঠিক এর পরের দিনই গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

 

তিনি বলেন, “আদানি ও শেখ হাসিনা সরকারের মধ্যে হওয়া জ্বালানি চু্ক্তি প্রথম থেকেই বিতর্কিত ছিল। কারণ হাসিনার আমলে হওয়া অন্য চুক্তির মতো এটিও কোনো টেন্ডার ছাড়া হয়। তা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার আদানির প্রতি ইতিবাচক পদক্ষেপ ও আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগের পর, আলোচনার জায়গা খুব সম্ভবত কমে যাবে। ফলে বিদ্যুতের দাম পুননির্ধারণে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র চাপে পড়বে আদানি গ্রুপ।”

Manual5 Ad Code

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছিল দ্য হিন্দু। কিন্তু তারা কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, জি২জি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন তারা। কিন্তু আদানির মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি নিয়ে তারা প্রয়োজন না হলে হস্তক্ষেপ করবেন না।

 

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা থেকে বাংলাদেশে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। এই কেন্দ্রটি বানানো হয়েছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর জন্য।

Manual3 Ad Code

 

বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ইজাজ বলেছেন, আদানি বাংলাদেশকে চুক্তির প্রস্তাবে জানায় তারা অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা এনে সেগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে বাংলাদেশে পাঠাবে। যেহেতু বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর নেই তাই বিষয়টির যৌক্তিকতা ছিল। তবে সমালোচকরা পরবর্তীতে বলতে শুরু করেন, আদানি তো ভারতের সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি পেয়েছে। কিন্তু এই ভর্তুকি তো বাংলাদেশের সঙ্গে তারা ভাগাভাগি করেনি।

বিদ্যুতের যে দাম আদানি নির্ধারণ করেছে সেটি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। এমনকি শেখ হাসিনা সরকারের সময়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে হাসিনার ভালো সম্পর্ক থাকায় আদানির পক্ষে যায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আদানির কাছে বিদ্যুতের দাম পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য একটি চিঠি দেয়। ওই সময় আদানি জানায় তারা প্রতি মেট্রিক টন কয়লা ৪০০ ডলারে কিনছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তারা অন্যান্য কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে একই পণ্যের জন্য ২৫০ ডলারের কম দিচ্ছে।

Manual8 Ad Code

এদিকে আদালত যেহেতু আদানির সঙ্গে চুক্তি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশ এখন পুরো চুক্তিটি পর্যালোচনা করতে পারবে।

সূত্র: দ্য হিন্দু

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code