প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটের মাটির নিচে এখনও গ্যাসের ভান্ডার

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ
সিলেটের মাটির নিচে এখনও গ্যাসের ভান্ডার

Manual8 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রাকৃতিক সম্পদ তেল-গ্যাসে ভরপুর সিলেট অঞ্চলের মাটির নিচ। দেশে যখন দ্রুত ফুরাচ্ছে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন ঠিক তখনই এই অঞ্চলে একের পর এক মিলছে গ্যাসের ভান্ডার। বর্তমানে উৎপাদন অব্যাহত থাকা সিলেটের ৯ টি গ্যাসক্ষেত্রের মজুত ৪ হাজারেরও বেশী বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে।

Manual8 Ad Code

এছাড়াও চলতি বছরেই সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন পাঁচটি কূপে মিলেছে গ্যাসের সন্ধান। নতুন কূপের পাশাপাশি পুরনো পরিত্যক্ত কূপেও পাওয়া গেছে গ্যাসেরস্তর। এতে গ্যাস ভান্ডারে নতুন সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।

Manual2 Ad Code

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে আগামী বছরের মধ্যে বর্তমানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গ্যাস জাতীয় গ্রিড লাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

পেট্রোবাংলার সর্বশেষ ২০২৩ সালের গ্যাসের মজুত প্রতিবেদন অনুযায়ী, উৎপাদন অব্যাহত থাকা সিলেটের ৯ টি গ্যাসক্ষেত্রের মজুত ৪ হাজার ৫৫৯ বিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রে ১ হাজার ৯৯৭ বিলিয়ন ঘনফুট, রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে ১ হাজার ৭৩৩ বিলিয়ন ঘনফুট, সিলেট হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে ৯৬ বিলিয়ন ঘনফুট, বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে ৮৬ বিলিয়ন ঘনফুট, ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে ২০৭ বিলিয়ন ঘনফুট, মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে ৮১ বিলিয়ন ঘনফুট, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে ১৩৪ বিলিয়ন ঘনফুট ও হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের মজুত রয়েছে ৭২ বিলিয়ন ঘনফুট।

Manual1 Ad Code

এছাড়া জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে নতুন করে মজুত পর্যালোচনার কাজ চলছে। আর জকিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে ৫৩ বিলিয়ন ঘনফুট মজুত থাকার পরও গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে না। তবে ফের গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

Manual3 Ad Code

এদিকে ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে বর্তমান মজুতের পরিমাণ ৪৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে কানাডিয়ান বহুজাতিক কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে চলা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় এখন কোনো কাজ হচ্ছে না।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নতুন বড় গ্যাসের মজুত না পেলে ২০৩১ সালের পর আমদানি করা গ্যাস (এলএনজি) দিয়ে চলতে হবে। এতে সংকটও বাড়বে। এজন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করার কথা বলছেন খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code