প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পিলখানা ট্র্যাজেডি, শহিদ সেনা দিবস আজ

editor
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ
পিলখানা ট্র্যাজেডি, শহিদ সেনা দিবস আজ

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
আজ শোকাবহ ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহিদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশের ৫৭ জন চৌকশ সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ বেসামরিক নাগরিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ নির্মম, নৃশংস ও ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে রচিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

Manual6 Ad Code

২৫ ফেব্রুয়ারির ক্ষত আজও পীড়া দেয় দেশবাসীকে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর থেকে শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডির এ দিনটিকে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে আজ সকালে রাওয়া ক্লাবে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।

Manual1 Ad Code

যা ঘটেছিল ওই দিন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় পিলখানা সদর দপ্তরে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) দরবার হলে শুরু হয় বার্ষিক দরবার। বিডিআর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের বক্তব্যের একপর্যায়ে বিডিআরের কিছু বিদ্রোহী সৈনিক অতর্কিত হামলা চালায় দরবার হলে। এরপর ঘটে যায় ইতিহাসের সেই নৃশংস ঘটনা। বিডিআরের বিদ্রোহী সৈনিকরা উপস্থিত সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারা সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদের পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করেন। পুরো পিলখানায় এক বীভৎস ঘটনার সৃষ্টি হয়। নানা নাটকীয়তায় পিলখানার ভিতরের নৃশংস এ হত্যাযজ্ঞ শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বিদ্রোহের অবসান ঘটলে পিলখানার নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ।

২৭ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ভিতরে সন্ধান মেলে একাধিক গণকবরের। সেখানে পাওয়া যায় তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, তার স্ত্রীসহ সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। ঢাকা মহানগর তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিডিআরের সাবেক ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

সর্বশেষ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ২৫০ জন বিডিআর জওয়ানকে জামিন দেন আদালত। ২৩ জানুয়ারি ১৭৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

Manual4 Ad Code

জাতীয় শহিদ সেনা দিবস
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ওই তারিখকে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ (সরকারি ছুটি ব্যতিত) হিসেবে পালনের নিমিত্তে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসংক্রান্ত পরিপত্রের ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code