প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

এবার ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০ টাকা, সর্বোচ্চ ২৮০৫

editor
প্রকাশিত মার্চ ১১, ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ণ
এবার ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০ টাকা, সর্বোচ্চ ২৮০৫

নিউজ ডেস্ক:
এবছর রোজার ঈদে বাংলাদেশে মুসলমানদের জন্য জনপ্রতি ফিতরার সর্বনিম্ন হার ১১০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর সর্বোচ্চ ফিতরা হবে ২,৮০৫ টাকা।

ফিতরার এই হার গতবারের চেয়ে কম। গত বছর ন্যূনতম ফিতরা ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ফিতরা ২,৯৭০ টাকা ছিল। মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এবারের হার নির্ধারণ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক।

ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য রোজার ঈদে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে বাবাকে এই ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয় ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই।

মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন।

গম বা আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম । খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম মাধ্যমে ফিতরা আদায় করতে হয়। এসব পণ্যের বাজারমূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

সে অনুযায়ী গম বা আটার দামে ফিতরা দিলে ১১০ টাকা, যবের দামে দিলে ৫৩০ টাকা, খেজুরের দামে দিলে ২,৩১০ টাকা, কিসমিসের দামে দিলে ১,৯৮০ টাকা এবং পনিরের দামে দিলে ২,৮০৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটি।

Sharing is caring!