প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারে ১৫ হাজার শিশু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা !

editor
প্রকাশিত মে ২৭, ২০২৫, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে ১৫ হাজার শিশু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা !

Manual5 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:

বেতন গ্রেড বাড়ানোসহ ৩ দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে বিয়ানীবাজারের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। উপজেলার ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের এ আন্দোলন চলছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার শিশু শিক্ষার্থী জিম্মী হয়ে পড়েছেন।

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কি-তা না বুঝেই প্রতিদিনের মতো স্কুলে আসছে, ক্লাসেও বসছে। কিন্তু ক্লাস নিতে যাচ্ছেননা কোনো শিক্ষক। কর্মবিরতি নামক আন্দোলনের ছবিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে সরকারি চাকরি বিধির দেদার লঙ্গন হচ্ছে।

উপজেলার একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যে যার মতো খেলাধুলা করছে। শিক্ষকরা অফিসরুমে বসে আছেন। কোনো ক্লাসে যাচ্ছেননা শিক্ষকরা। তবে মাধ্যমিক সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে।

শিক্ষক নেতারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তারা।

Manual3 Ad Code

এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সূত্রমতে, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে সহকারী শিক্ষকদের শুরুর বেতন ১২তম এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও কিছুটা দেরিতে পাঠ্যবই পেয়েছে। পুরোদমে ক্লাস শুরু করতে দেড় থেকে ২ মাস দেরি হয়েছে। মে মাসের শুরু থেকে কখনো এক ঘণ্টা, কখনো দুই ঘণ্টা, আবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছেন শিক্ষকরা। আগামী ৩ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ঈদ ও গরমের ছুটি । ফলে বছরের অর্ধেক সময় পার হলেও পর্যাপ্ত ক্লাস করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। অথচ এ বছরে সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি বন্ধ বাদে মাত্র ১৭৯ দিন ক্লাস করার সুযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। এই মুহূর্তে শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী।

বিয়ানীবাজারের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত না করে দাবি আদায়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আমরা বসলেও ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। ফলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছি। সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিলে আমরা ক্লাসরুমে ফিরে যাব।’

Manual7 Ad Code

বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) নৃপেন্দ্র নাথ দাস বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Manual7 Ad Code

জানা যায়, শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো-
১. প্রাথমিক শিক্ষাসংক্রান্ত কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।
২. ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।
৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code