প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভুয়া জামিনপত্রে কারাগার থেকে বেরোলেন চারজন!

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ
ভুয়া জামিনপত্রে কারাগার থেকে বেরোলেন চারজন!

Manual6 Ad Code

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জে ভুয়া জামিন নামা দিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেল মাদক মামলার ৪ জন আসামি। যা নিয়ে হবিগঞ্জের আদালতপাড়াসহ সর্বত্র এখন চলছে নানান ধরণের আলোচনা ও সমালোচনা।

ভুয়া জামিন নামা দিয়ে বের হওয়া মাদক মামলার আসামীরা হল- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলগঞ্জ গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার ছেলে রুয়েল মিয়া, একই উপজেলার কিরণ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কিরগাও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে সুয়েব মিয়া।

Manual5 Ad Code

জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি জেলার মাধবপুর উপজেলায় ৩৫ কেজি গাজাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে উল্লেখিত ৪ মাদক কারবারি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। যার মামলা নং জিআর ১০/২৫। মাদক কারবারিদের আইনজীবি এডভোকেট ফয়সল আদালতে বেশ কয়েকবার তাদের জামিন আবেদন প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তাদেরকে জামিন দেননি।

গত ২৬ জানুয়ারিও তাদের জামিন আবদেন করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তারা জামিনে বের হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে (৩০ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার এডভোকেট ফয়সল আদালতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি নিশ্চিত হন তার আসামিরা ভূয়া জামিন নামা তৈরী করে জিআরও অফিসের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখান থেকে তারা ছাড় পেয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে এডভোকেট ফয়সল জানান, উল্লেখিতদের ম্যজিস্ট্রেট ও জজ কোর্টে জামিন চেয়ে পাইনি। পরবর্তীতে আমি হাইকোর্টে কাগজপত্র পাঠাতে চাইলে তার স্বজনরা জানায় হাইকোর্টে কাগজপত্র পাঠানোর কোন প্রয়োজন নেই।

Manual4 Ad Code

আমাদের লোকজন জামিন নিয়ে বের হয়ে গেছে। এ বিষয়টি জানার পর আমি হতভম্ব হয়ে পরি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখি ভুয়া জামিন নামা তৈরী করে জিআরও অফিসের মাধ্যমে তা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।

হবিগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর (ওসি) নাজমুল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর থেকেই আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। কে জামিন নামা দিল আবার কিভাবে সেটা কারাগারে গেল তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন- পুরো বিষয়টি জানার পর আপনাদের জানাতে পারব। এছাড়াও এ ঘটনায় জিআরও অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Manual2 Ad Code

হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতিদিনকার নিয়মেই আদালত থেকে আমাদের কাছে জামিননামা আসে। সেই অনুযায়ী বন্দিরা ছাড়া পায়। তবে সেটি ভুয়া জামিননামা ছিল এবিষয়টি আমাদের জানা নেই।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code